ফিরে যেতে চান

অভিমত

আনারুল হক আনা রচিত বর্ধিত কলেবরে প্রায় এগারো শত পৃষ্ঠার ‘রাজশাহীর কথা’ গ্রন্থটির মূল পাÐুলিপি দেখলাম ও পড়লাম। গ্রন্থটি রচনার জন্য প্রথমেই আমি লেখককে সাধুবাদ জানাই ও অভিনন্দিত করি। এ গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠায় লেখকের অপরিসীম পরিশ্রম রয়েছে। একসঙ্গে এমন একটি গবেষণাধর্মী ও মননশীল কাজ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

রাজশাহী নিয়ে এ রকম আকর গ্রন্থ খুব বেশি রচিত ও প্রকাশিত হয়নি। গ্রন্থের লেখক আমার অনুজসম বিধায় আমি তাঁকে সর্বদাই উৎসাহিত করেছি এবং নানা রকম পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছি। লেখক রাজশাহী মহানগরীকে কেন্দ্রে রেখে তাঁর লেখার সম্প্রসারণে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য, জীবন-সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে যুক্তিনিষ্ঠ ও তথ্য সমৃদ্ধ আলোচনা করেছে। তাঁর আলোচনায় নানা তথ্য ও উপাত্ত কখনো কখনো একেবারে জীবন্ত হয়ে কথা বলেছে। রাজশাহীর অবস্থান-আয়তন-জনসংখ্যা-নাম থেকে শুরু করে প্রকৃতি ও আবাসন, রাজশাহীর জমিদারি, প্রশাসনিক ইতিহাস ও অফিসসমূহ, সেই সঙ্গে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, ভাষা-স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজনৈতিক সভার স্থান, রাজশাহীর পবা-বোয়ালিয়া ও রাজশাহী মহানগরী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জীবন কথা, রাজশাহীর স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও শহিদ মিনার, রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা, গণমাধ্যম, চিকিৎসা, ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অর্থনীতি, প্রতœ সম্পদ, জীবনযাত্রা এবং দুর্লোভ মানচিত্র ও অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ছবি- এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। 
এর ফলে, গ্রন্থটির প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ^াসপ্রিয়তা পায়। এ গ্রন্থের প্রতিটি অধ্যায়ে লেখক তাঁর শাণিত কলম শক্তির ব্যবহার করেছে। প্রায় আট শত তথ্যের সমন্বয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, প্রবন্ধ, প্রতিবেদন প্রভৃতি সূত্রের উল্লেখ গ্রন্থটিতে দেখা যায়। গ্রন্থের পাÐুলিপিতে নির্ঘণ্ট না থাকায় আমি তাঁকে নির্ঘণ্ট সংযোজনের পরামর্শ দিই। গ্রন্থটির প্রচুর বানান বিভ্রাট আমার কাছে ছিল পীড়াদায়ক। এ ত্রæটিগুলো সংশোধনের জন্য লেখককে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাকে শুদ্ধ বানানে শব্দ গঠনের বিষয়ে প্রমিত বাংলা বানান বিধিমালা অনুসরণের কথা জোর দিয়ে বলেছি।

সর্বক্ষণ হাতের কাছেই যদি এ গ্রন্থটি থাকে তাহলে রাজশাহীর অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা সহজ হবে। গ্রন্থটি অনেকটা জরুরি প্রয়োজনে হ্যান্ডবুক এবং অভিধানের মতোই আমাদের কাজে আসবে। বিদগ্ধ পÐিত ও পাঠকের মনের চাহিদা পূরণেও গ্রন্থটি ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।
¯েœহভাজন লেখক দীর্ঘ সময় ধরে রাজশাহীর ইতিহাস-এতিহ্য নিয়ে লেখালেখি ও গবেষণা কর্মে নিয়োজিত। গ্রন্থটি এম.ফিল বা পিএইচ.ডি গবেষণার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জনযোগ্য। একটি মহৎ কর্মপ্রয়াস হিসেবেও গবেষণার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সব কিছু বিবেচনায় এনে আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি লেখক এ গ্রন্থটি রচনার মাধ্যমে জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। সঙ্গত কারণেই গ্রন্থটির প্রকাশ ও বহুল প্রচার কামনা করি।

 

21 †deªæqvwi 2018

ivRkvnx

W. ZwmKzj Bmjvg ivRv

Gg.G (ivRkvnx), wcGBP.wW (iex›`ª fviZx)

Aa¨ÿ (Ae.), kvn gL`yg wWwMÖ K‡jR, ivRkvnx